Dhaka ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে

আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্তমান সময়ে সবার জানার আগ্রহ আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে? কবে নাগাদে সকল কার্যক্রম চলমান থাকতে পারে বলে জানার সকল আগ্রহ রয়েছে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন দলের পাশাপাশি এখন এ বিষয়টি জনসাধারণের কাছে কমন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর কোন সরকার আসবে সে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে সবার।

বিগত সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর পর্যন্ত এই‌ দেশ শাসন করেছেন। এরপর ২০২৪ সালে এসে ৫ আগস্ট এ সরকারের পতন হয়। এ সরকারের পদত্যাগ করানোর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করে আসছিল বিভিন্ন দলগুলো। কিন্তু কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রভাব পড়ে যায় এর উপর এবং অবশেষে প্রতিরোধ করতে বাধ্য হন তারা। কোটা বিরোধী আন্দোলন বেশ কয়েক বছর ধরে এই অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের কার্যক্রম চলমান ছিল। এর আগেও প্রচন্ডমাত্রায় আন্দোলনের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালো এত জোরালোভাবে কখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২৪ সালে প্রথম থেকে বেশ উত্তেজনা এই আন্দোলনগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। জুলাই মাসে এসে এই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপরে গুলি ও হামলা আক্রমণ করে পুলিশ সহ অন্যান্য দলের সদস্যরা। আবু সাঈদ এবং মুগ্ধসহ বেশ কয়েকজন মারা যান। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরো জোরালো হয়ে যায়। এরপর আন্দোলন আর তীব্র হতে শুরু করে এবং নয় দফা দেয়।

কিন্তু এর মধ্যেই ডিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয় ছয় সমন্বয়ককে। কিন্তু সেখানে হেফাজতের নামে তাদেরকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা এই বিষয়টি মেনে নেয় না এবং তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান। আর এ বিবৃতির পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা বাইরে আসার পরে এক দফা আন্দোলনের ডাক দেয় এবং সরকার পতনের প্রস্তুতি নেয়। এর মধ্যে কারফিউ জারি করলে সেটিও ভেঙে তারা। লংমার্চ টু ঢাকা ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্ট একদিন এগিয়ে নেয়। তাদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমেই এগিয়ে যায় এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময়ে সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকায় কয়েক লক্ষ মানুষ কারফিউ ভেঙে পৌছায় এবং লংমার্চ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা সরকার বাধ্য হয় পদত্যাগ করতে এবং পালিয়ে যায় দেশ ছেড়ে।

আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে

এখন প্রশ্ন করতে পারে যে আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে বিষয়টি। কারণ শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ক্ষমতা ভালো হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারপর অন্তর্ভুক্তি কালকে সরকার নির্বাচন করে তার হাতে ক্ষমতা করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে তার বিভিন্ন ধরনের উপদেষ্টা রয়েছে যারা বিভিন্ন কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে এখানে সমন্বয়কদের মধ্যে এসেছে নাহিদ এবং আসিফ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে ডঃ ইউনুসকে। আর আসিফ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। অন্যদিকে নাহিদ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। আশা করা যাচ্ছে তারা উভয় এগিয়ে নিয়ে যাবে এই দুই সংখ্যাকে এবং তরুণদের হাতে চলবে তাদের হাত ধরে।

এখন আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে সেই বিষয়টি প্রশ্ন করছেন অনেকেই। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে তেমন কোন কথা বলে নাই। তবে জানা যাচ্ছে সকল পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে এবং সেই পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যমে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এ সরকার থাকুক এবং পরবর্তী সময়ে নির্বাচন দিক। এর মধ্যে কিছু ব্যক্তিরা বলেছেন এ সরকারের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে সফলতা আসবে। কিন্তু অন্যদিকে সবাই বলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত সরকারের মাধ্যমে সকল কার্যক্রমে চালু হোক। কেননা নির্দিষ্ট দলের ভালো সরকার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে যাই হোক কবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয় সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

নির্বাচন সংক্রান্ত সকল তথ্য এবং বিষয় পেতে হলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন। এখানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল খবরগুলো উপস্থাপন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে

আপডেট সময় : ০১:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বর্তমান সময়ে সবার জানার আগ্রহ আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে? কবে নাগাদে সকল কার্যক্রম চলমান থাকতে পারে বলে জানার সকল আগ্রহ রয়েছে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন দলের পাশাপাশি এখন এ বিষয়টি জনসাধারণের কাছে কমন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর কোন সরকার আসবে সে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে সবার।

বিগত সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর পর্যন্ত এই‌ দেশ শাসন করেছেন। এরপর ২০২৪ সালে এসে ৫ আগস্ট এ সরকারের পতন হয়। এ সরকারের পদত্যাগ করানোর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করে আসছিল বিভিন্ন দলগুলো। কিন্তু কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রভাব পড়ে যায় এর উপর এবং অবশেষে প্রতিরোধ করতে বাধ্য হন তারা। কোটা বিরোধী আন্দোলন বেশ কয়েক বছর ধরে এই অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের কার্যক্রম চলমান ছিল। এর আগেও প্রচন্ডমাত্রায় আন্দোলনের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালো এত জোরালোভাবে কখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২৪ সালে প্রথম থেকে বেশ উত্তেজনা এই আন্দোলনগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। জুলাই মাসে এসে এই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপরে গুলি ও হামলা আক্রমণ করে পুলিশ সহ অন্যান্য দলের সদস্যরা। আবু সাঈদ এবং মুগ্ধসহ বেশ কয়েকজন মারা যান। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরো জোরালো হয়ে যায়। এরপর আন্দোলন আর তীব্র হতে শুরু করে এবং নয় দফা দেয়।

কিন্তু এর মধ্যেই ডিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয় ছয় সমন্বয়ককে। কিন্তু সেখানে হেফাজতের নামে তাদেরকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা এই বিষয়টি মেনে নেয় না এবং তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান। আর এ বিবৃতির পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা বাইরে আসার পরে এক দফা আন্দোলনের ডাক দেয় এবং সরকার পতনের প্রস্তুতি নেয়। এর মধ্যে কারফিউ জারি করলে সেটিও ভেঙে তারা। লংমার্চ টু ঢাকা ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্ট একদিন এগিয়ে নেয়। তাদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমেই এগিয়ে যায় এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময়ে সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকায় কয়েক লক্ষ মানুষ কারফিউ ভেঙে পৌছায় এবং লংমার্চ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা সরকার বাধ্য হয় পদত্যাগ করতে এবং পালিয়ে যায় দেশ ছেড়ে।

আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে

এখন প্রশ্ন করতে পারে যে আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে বিষয়টি। কারণ শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ক্ষমতা ভালো হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারপর অন্তর্ভুক্তি কালকে সরকার নির্বাচন করে তার হাতে ক্ষমতা করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে তার বিভিন্ন ধরনের উপদেষ্টা রয়েছে যারা বিভিন্ন কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে এখানে সমন্বয়কদের মধ্যে এসেছে নাহিদ এবং আসিফ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে ডঃ ইউনুসকে। আর আসিফ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। অন্যদিকে নাহিদ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। আশা করা যাচ্ছে তারা উভয় এগিয়ে নিয়ে যাবে এই দুই সংখ্যাকে এবং তরুণদের হাতে চলবে তাদের হাত ধরে।

এখন আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে সেই বিষয়টি প্রশ্ন করছেন অনেকেই। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে তেমন কোন কথা বলে নাই। তবে জানা যাচ্ছে সকল পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে এবং সেই পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যমে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এ সরকার থাকুক এবং পরবর্তী সময়ে নির্বাচন দিক। এর মধ্যে কিছু ব্যক্তিরা বলেছেন এ সরকারের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে সফলতা আসবে। কিন্তু অন্যদিকে সবাই বলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত সরকারের মাধ্যমে সকল কার্যক্রমে চালু হোক। কেননা নির্দিষ্ট দলের ভালো সরকার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে যাই হোক কবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয় সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

নির্বাচন সংক্রান্ত সকল তথ্য এবং বিষয় পেতে হলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন। এখানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল খবরগুলো উপস্থাপন করা হয়।