আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার
- আপডেট সময় : ০১:০২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বকে এবার পাল্টে দিতে শুরু করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আর এখান থেকে জানতে পারবেন এই ধরনের প্রযুক্তির অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার ও গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয়গুলো। যা থেকে আপনারা এ জগতের নতুন অধ্যায়গুলো জানতে পারবেন।
যদিও এর আবির্ভাব ঘটেছে প্রায় কয়েক যূঘবছর আগেই। কিন্তু ২০২০ সালের পর এর পরিবর্তন ও ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। যতদিন যাবে তত এর প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং নানা ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সমস্যা বৃদ্ধি বেশ কয়েকটি আবির্ভাব দেখা দিচ্ছে। যা থেকে মানুষ তার কর্ম ক্ষমতা হারাচ্ছে এবং নানা ধরনের নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব ঘটছে। এই সকল বিষয়ে বিবেচনাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে করে এ বিষয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে পান। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেরা চলতে পারেন। প্রথমে আমরা এর ইতিহাস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ধাপ গুলো দেখে নেব।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার
ব্যবহার সম্পর্কে আমরা একটু পরে জানি। তবে তার আগে জানি এর ইতিহাস ও বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে। আসুন তাহলে নিচে থেকে এর ইতিহাস জানিয়ে এখন।
এআই এর ইতিহাস
এই শব্দটির বাংলা অর্থ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সর্বপ্রথম ১৯৫৬ সালে এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তারপর থেকে এর চর্চা শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে গবেষণা করতে থাকে। গবেষণা করতে করতে এর আবির্ভাব ঘটে শেষ সময়ের দিকে। এরপর ব্যাপক হারে ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তবে প্রথম দিকে এই ধরনের এয়ার ব্যবহার তেমন বিশেষ শক্তিশালী ছিল না। অর্থাৎ বেশি পারফরমেন্সের ছিল না। আমরা বর্তমানে সময়ে যে এাই ব্যবহার করছি তা অত্যন্ত আধুনিক এবং দ্রুত গতিসম্পন্ন।
এআই এর প্রকারভেদ
বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এআইকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূলত কাজের ব্যবহার এবং উৎপন্ন অনুসারে এই বিভাজন করা হয়েছে ও আগে থেকেই। চলুন এখন আমরা এই প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নেই।
ডিপ লার্নিং: নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যে ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়। সেটি হচ্ছে এই ডিপ লার্নিং সিস্টেম। যদি তার জটিল প্যাটার্ন চিহ্নের সক্ষম হয় তাহলে বড় আকারে ডাটা সেটের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে এটি।
মেশিন লার্নিং: যে এ আর পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের মেশিনারিজ কাজ করা হয় তাদেরকে বলা হয় মেশিন লার্নিং সিস্টেম। অর্থাৎ মেশিন গুলোতে একপ্রকার ডাটা দেওয়া হয় সে ডাটাগুলো রিড করে অটোমেটিক ভাবে কাজ করাকেই বলা হয় এ পদ্ধতি সিস্টেম।
ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং: যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের ভাষা মেশিনকে বোঝাতে সক্ষম হয়। তাকে বলা হয় ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং। বিশেষ করে চ্যাটবোর্ড এবং অন্যান্য এসিস্ট্যান্ট সহ ভাষার অনুবাদ মেশিনে ব্যবহার করা হয় এই ধরনের প্রযুক্তি। আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বাধিক রয়েছে।
এআই এর ব্যবহার
এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এখন প্রায় সকল ক্ষেত্রেই। আপনার হাতের মোবাইলে যা চলছে সব কিছুই চলছে এই ধরনের আর্টিফিসিয়ালের কার্যক্ষমতা। এছাড়াও বিভিন্ন গার্মেন্টস এবং অটোমেটিক মেশিনগুলোতেও ব্যবহার করেছে এ ধরনের প্রযুক্তি সিস্টেম। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে প্রায় আসে শতাংশ মেশিনের কাজগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে এই ধরনের প্রযুক্তির সিস্টেম। যাক কয়েক ঘন্টায় এমনকি কয়েকদিনের কাজ কয়েক মুহূর্তে করে দিচ্ছে।
এআই এর অসুবিধা
প্রত্যেক বিষয়ের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনভাবে অসুবিধা রয়েছে। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করছে ব্যবহারকারীদের এবং সাধারণ মানুষের। কয়েক শত লোকের কাজ কয়েক ঘন্টা করে দিচ্ছে একটি এআই মেশিন। যার কারণে অনেকে বেকার হয়ে যাচ্ছেন এবং এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ অনেক ব্যক্তিরাও বলেছেন আগামী কয়েক বছরের সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় কয়েক বিলিয়ন মানুষের বেকার হতে চাচ্ছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার কারণে।
তবে আমাদের উচিত এর বিকল্প ব্যবহার করা এবং যতটা সম্ভব হিউম্যান ব্যবহার উপযোগী করে তোলা। দুটি যদি সামন্তস্যতা করা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে সেটি।