Dhaka ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে রেকর্ডসংখ্যক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে

এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে রেকর্ডসংখ্যক

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় দুই অঙ্কের। এখন আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। কি পরিমান কমে গিয়েছে আর এর সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আমাদের জানা অবশ্যই দরকার।

সর্বপ্রথম আমরা যে বিষয়টি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব সেটা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কি। আর এটি কিভাবে কাজ করে থাকে এবং একটি দেশের ওপর কি কি প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয় নিয়ে। প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব মোজা রয়েছে যার বিপরীতে মানুষ ক্রয় বিক্রয় সহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করে থাকে। প্রত্যেক দেশের আলাদা এই মোটা রয়েছে এবং তাদের মানের পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু কিছু দেশের মুদ্রার মান বেশি আবার কিছুর দেশের কম থাকে। শুরু থেকেই কম থাকে সেটি নয় বরং ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করে অথবা কোন কারণে কমে যায়। আর টাকার মান কমে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ কোন জিনিস যদি ক্রয় করেন পূর্বে একশো টাকা দিয়ে, নির্দিষ্ট সময়ের পর সেটির যদি ক্রয় করেন তার থেকে বেশি অর্থাৎ ১০২ টাকা দিয়ে। তাহলে তাকে বলা হয় মুদ্রাস্ফীতি। প্রকৃতপক্ষে কোন জিনিসের দাম বাড়ে না বরং টাকার মান অর্থাৎ মুদ্রা মান কমে যায় যার কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে রেকর্ডসংখ্যক

বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি টাকা দিয়েছে প্রায় কয়েক বছর ধরে অনেক বেশি। বিশেষ করে গত এক যুগে এর পরিমাণ ছিল তুলনামূলক হারে একটু বেশি। কিন্তু গত এক মাসের প্রভাবের কারণে এর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। পূর্বে ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। বর্তমানে এই বিষয়টি এসে দাঁড়িয়েছে 10.49%। যা রেকর্ড সংখ্যক পরিমাণ কমে গিয়েছে শেষ এক মাসের মধ্যে। এ বিষয় নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে সাধারণ মানুষের এবং বিশেষজ্ঞদের। যদি এইভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করে এবং মুদ্রার মান বাড়তে থাকে তাহলে খুব দ্রুত উন্নয়ন করা সম্ভব। এতে করে জনসাধারণের পাশাপাশি রাষ্ট্র অনেক উন্নত হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের মুদ্রার মান বৃদ্ধি পাবে।

যদিও এ বিষয়টি অনেকটা বাজেটের উপর নির্ভর করে থাকে এবং অন্যান্য বিষয়ের উপরে চলমান থাকে। তবে আশাবাদী এই বছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে ৬ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা। এতে করে অনেক ভালো প্রভাব পড়বে আমাদের দেশের মানুষের এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উপরে। আসুন এখন আমরা আরও বেশ কিছু তথ্য জানি এই বিষয়গুলো নিয়ে।

মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বিস্তার

বর্তমানে মূল্যস্ফীতি কমেছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। মূলত আমরা জানি কোন কোন মুদ্রার বা দেশের মুদ্রাস্ফীতি কমে গেলে অবশ্যই ওই দেশের জিনিস ও অন্যান্য প্রয়োজনে দ্রব্যের মূল্য কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে এখন কমে গেছে কিন্তু প্রোডাক্ট এর দাম কেন কমেনি এই বিষয় নিয়ে অনেকেরই সংখ্যা পোষণ করছে। মূলত এটা কার্যকর হওয়ার পর বেশ কিছু সময় লাগে তার পরিবর্তন হতে। এছাড়াও সরকারের পদক্ষেপ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের তদারকের উপর এ সকল বিষয়ের পরিবর্তন হয়।

অর্থনীতি অনুসারে যে দেশের মুদ্রাস্ফীতি যত বেড়ে যায় ওই দেশের জীবনযাত্রার মান তত কমে যায়। কেননা দ্রব্যের দাম সহ অন্যান্য সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং চাহিদা কমে যায় এই কারণে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার মান কমতে শুরু করে যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও বেশ সংকটে পড়তে হয়। আর যখন এর স্থিতি পরিমাণ কমতে শুরু করে তখন মুদ্রার মান বাড়ে আর মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে শুরু করে।

১০ ব্যাংক দেউলিয়া ব্যাংক

তবে যায় হোক মূল্যস্ফীতি কমেছে এদের জনসাধারণের জন্য অনেক কল্যাণকর। আর আমাদেরও চেষ্টা করতে হবে যাতে করে এর মান কমানো যায় ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা তদা অনুযায়ী। তাহলে রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমরা নিজেদেরকে অনেক ভালো রাখতে পারব এবং আর্থিকভাবে উন্নত করতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে রেকর্ডসংখ্যক

আপডেট সময় : ১২:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় দুই অঙ্কের। এখন আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। কি পরিমান কমে গিয়েছে আর এর সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আমাদের জানা অবশ্যই দরকার।

সর্বপ্রথম আমরা যে বিষয়টি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব সেটা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কি। আর এটি কিভাবে কাজ করে থাকে এবং একটি দেশের ওপর কি কি প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয় নিয়ে। প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব মোজা রয়েছে যার বিপরীতে মানুষ ক্রয় বিক্রয় সহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করে থাকে। প্রত্যেক দেশের আলাদা এই মোটা রয়েছে এবং তাদের মানের পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু কিছু দেশের মুদ্রার মান বেশি আবার কিছুর দেশের কম থাকে। শুরু থেকেই কম থাকে সেটি নয় বরং ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করে অথবা কোন কারণে কমে যায়। আর টাকার মান কমে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ কোন জিনিস যদি ক্রয় করেন পূর্বে একশো টাকা দিয়ে, নির্দিষ্ট সময়ের পর সেটির যদি ক্রয় করেন তার থেকে বেশি অর্থাৎ ১০২ টাকা দিয়ে। তাহলে তাকে বলা হয় মুদ্রাস্ফীতি। প্রকৃতপক্ষে কোন জিনিসের দাম বাড়ে না বরং টাকার মান অর্থাৎ মুদ্রা মান কমে যায় যার কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে রেকর্ডসংখ্যক

বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি টাকা দিয়েছে প্রায় কয়েক বছর ধরে অনেক বেশি। বিশেষ করে গত এক যুগে এর পরিমাণ ছিল তুলনামূলক হারে একটু বেশি। কিন্তু গত এক মাসের প্রভাবের কারণে এর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। পূর্বে ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। বর্তমানে এই বিষয়টি এসে দাঁড়িয়েছে 10.49%। যা রেকর্ড সংখ্যক পরিমাণ কমে গিয়েছে শেষ এক মাসের মধ্যে। এ বিষয় নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে সাধারণ মানুষের এবং বিশেষজ্ঞদের। যদি এইভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করে এবং মুদ্রার মান বাড়তে থাকে তাহলে খুব দ্রুত উন্নয়ন করা সম্ভব। এতে করে জনসাধারণের পাশাপাশি রাষ্ট্র অনেক উন্নত হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের মুদ্রার মান বৃদ্ধি পাবে।

যদিও এ বিষয়টি অনেকটা বাজেটের উপর নির্ভর করে থাকে এবং অন্যান্য বিষয়ের উপরে চলমান থাকে। তবে আশাবাদী এই বছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে ৬ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা। এতে করে অনেক ভালো প্রভাব পড়বে আমাদের দেশের মানুষের এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উপরে। আসুন এখন আমরা আরও বেশ কিছু তথ্য জানি এই বিষয়গুলো নিয়ে।

মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বিস্তার

বর্তমানে মূল্যস্ফীতি কমেছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। মূলত আমরা জানি কোন কোন মুদ্রার বা দেশের মুদ্রাস্ফীতি কমে গেলে অবশ্যই ওই দেশের জিনিস ও অন্যান্য প্রয়োজনে দ্রব্যের মূল্য কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে এখন কমে গেছে কিন্তু প্রোডাক্ট এর দাম কেন কমেনি এই বিষয় নিয়ে অনেকেরই সংখ্যা পোষণ করছে। মূলত এটা কার্যকর হওয়ার পর বেশ কিছু সময় লাগে তার পরিবর্তন হতে। এছাড়াও সরকারের পদক্ষেপ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের তদারকের উপর এ সকল বিষয়ের পরিবর্তন হয়।

অর্থনীতি অনুসারে যে দেশের মুদ্রাস্ফীতি যত বেড়ে যায় ওই দেশের জীবনযাত্রার মান তত কমে যায়। কেননা দ্রব্যের দাম সহ অন্যান্য সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং চাহিদা কমে যায় এই কারণে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার মান কমতে শুরু করে যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও বেশ সংকটে পড়তে হয়। আর যখন এর স্থিতি পরিমাণ কমতে শুরু করে তখন মুদ্রার মান বাড়ে আর মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে শুরু করে।

১০ ব্যাংক দেউলিয়া ব্যাংক

তবে যায় হোক মূল্যস্ফীতি কমেছে এদের জনসাধারণের জন্য অনেক কল্যাণকর। আর আমাদেরও চেষ্টা করতে হবে যাতে করে এর মান কমানো যায় ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা তদা অনুযায়ী। তাহলে রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমরা নিজেদেরকে অনেক ভালো রাখতে পারব এবং আর্থিকভাবে উন্নত করতে পারবো।