Dhaka ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারা বাংলাদেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮ বার পড়া হয়েছে

সারা বাংলাদেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখন সারা বাংলাদেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই লোডশেডিং এর পরিমাণ কমে যাবে এবং কবে নাগাদ ঠিক হবে সে বিষয়টি জানতে চাচ্ছেন অনেকেই। আজকের এই বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে করে আপনারা নিজেদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন এবং বিভিন্ন প্রতিকার খুঁজে পান।

লোডশেডিং কি?

চারদিকে এখন লোডশেডিং এর পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে মানুষ প্রায় হাহাকার শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এ লোডশেডিং এর কারণ এবং কি সে বিষয়টি আপনাদের সামনে এখন তুলে ধরা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় ধরে কোন অঞ্চলের বিদ্যুৎ না থাকাকে বলা হয় লোডশেডিং। এটি হতে পারে অল্প সময়ের জন্য কিংবা দীর্ঘ সময়ের জন্য। যদিও বাংলাদেশের লোডশেডিং এর পরিমাণ অনেক বেশি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘ সময় হয়ে থাকে।

লোডশেডিং হওয়ার কারণ

লোডশেডিং তখন হয় যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় অথবা সাপ্লাই করা হয়ে থাকে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদিত পরিমাণ যদি প্রয়োজন সমান থাকে তাহলে এই লোডশেডিং হয় না। তবে বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক জিনিসের পরিমাণ অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন অটো রিক্সা থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন এবং অটো ইঞ্জিন গুলো এখন কারেন্ট চলে থাকে। এছাড়া রয়েছে এয়ারকন্ডিশনারসহ বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিগুলো। যেখানে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ লাগে এবং প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার কারণে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশেও।

সারা বাংলাদেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এটা সারা বাংলাদেশ জুড়ে দেখা দিচ্ছে। শহর অঞ্চলগুলো থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলেতে ব্যাপক হারে এই সমস্যাটির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। একদিকে অতিরিক্ত গরম এবং তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে আদানী গ্রুপ বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। মূলত পূর্ববর্তী বকেয়া পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আর এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে দুই দেশের সংস্থা দের মধ্যে। এ ব্যাপারে কবে নাগাদ ঠিক হবে কিভাবে সে বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানা যাবে।

আবার বিপরীত দিকে বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখানে ৫২৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল। আর সেটা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে যার কারণে এই বিদ্যুৎ খাতে দেখা দিয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই সারা বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় আড়াইশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিচ্ছে উক্ত কারণেই শুধু মাত্র। সমস্যার সমাধান কবে নাগাদ ঠিক হবে সেটুকু বলা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পূর্ববর্তী সময়ের দুর্নীতির খেলা যে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে তাতে হুমকির মুখে রয়েছে এ সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো। যার কারণে এত চাপের সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবহার

গ্রামাঞ্চলে এবং অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বেশি পরিমাণ বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যায়। তাই আপনারা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। সারা দেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য আপনারা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন। যাদের বাজেট বেশি তারা আইপিএস কিন্তু পারেন অথবা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যাদের 20 হাজার টাকার মধ্যে অথবা এর আশেপাশে তারা সোলার প্যানেল কিনে তারপর বিকল্প ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়াও ছোট পাউডার ব্যাটারি কিনে প্রয়োজন অনুসারে ফ্যান এবং লাইট চালানো সম্ভব হয়। তাই আপনারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সাররা যারা রয়েছে তারা এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এতে করে রাউটার অনুসহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো চালাতে পারবেন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। আর বিদ্যুৎ খরচ এবং অন্যান্য ভয়ও থাকবে না একদম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সারা বাংলাদেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে

আপডেট সময় : ০১:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এখন সারা বাংলাদেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই লোডশেডিং এর পরিমাণ কমে যাবে এবং কবে নাগাদ ঠিক হবে সে বিষয়টি জানতে চাচ্ছেন অনেকেই। আজকের এই বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে করে আপনারা নিজেদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন এবং বিভিন্ন প্রতিকার খুঁজে পান।

লোডশেডিং কি?

চারদিকে এখন লোডশেডিং এর পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে মানুষ প্রায় হাহাকার শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এ লোডশেডিং এর কারণ এবং কি সে বিষয়টি আপনাদের সামনে এখন তুলে ধরা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় ধরে কোন অঞ্চলের বিদ্যুৎ না থাকাকে বলা হয় লোডশেডিং। এটি হতে পারে অল্প সময়ের জন্য কিংবা দীর্ঘ সময়ের জন্য। যদিও বাংলাদেশের লোডশেডিং এর পরিমাণ অনেক বেশি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘ সময় হয়ে থাকে।

লোডশেডিং হওয়ার কারণ

লোডশেডিং তখন হয় যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় অথবা সাপ্লাই করা হয়ে থাকে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদিত পরিমাণ যদি প্রয়োজন সমান থাকে তাহলে এই লোডশেডিং হয় না। তবে বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক জিনিসের পরিমাণ অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন অটো রিক্সা থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন এবং অটো ইঞ্জিন গুলো এখন কারেন্ট চলে থাকে। এছাড়া রয়েছে এয়ারকন্ডিশনারসহ বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিগুলো। যেখানে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ লাগে এবং প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার কারণে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশেও।

সারা বাংলাদেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এটা সারা বাংলাদেশ জুড়ে দেখা দিচ্ছে। শহর অঞ্চলগুলো থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলেতে ব্যাপক হারে এই সমস্যাটির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। একদিকে অতিরিক্ত গরম এবং তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে আদানী গ্রুপ বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। মূলত পূর্ববর্তী বকেয়া পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আর এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে দুই দেশের সংস্থা দের মধ্যে। এ ব্যাপারে কবে নাগাদ ঠিক হবে কিভাবে সে বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানা যাবে।

আবার বিপরীত দিকে বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখানে ৫২৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল। আর সেটা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে যার কারণে এই বিদ্যুৎ খাতে দেখা দিয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই সারা বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় আড়াইশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিচ্ছে উক্ত কারণেই শুধু মাত্র। সমস্যার সমাধান কবে নাগাদ ঠিক হবে সেটুকু বলা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পূর্ববর্তী সময়ের দুর্নীতির খেলা যে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে তাতে হুমকির মুখে রয়েছে এ সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো। যার কারণে এত চাপের সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবহার

গ্রামাঞ্চলে এবং অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বেশি পরিমাণ বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যায়। তাই আপনারা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। সারা দেশ জুড়ে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য আপনারা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন। যাদের বাজেট বেশি তারা আইপিএস কিন্তু পারেন অথবা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যাদের 20 হাজার টাকার মধ্যে অথবা এর আশেপাশে তারা সোলার প্যানেল কিনে তারপর বিকল্প ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়াও ছোট পাউডার ব্যাটারি কিনে প্রয়োজন অনুসারে ফ্যান এবং লাইট চালানো সম্ভব হয়। তাই আপনারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সাররা যারা রয়েছে তারা এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এতে করে রাউটার অনুসহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো চালাতে পারবেন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। আর বিদ্যুৎ খরচ এবং অন্যান্য ভয়ও থাকবে না একদম।