Dhaka ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয় এবং করণীয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয় এবং করণীয়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জীব ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয় এবং করণীয় নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল। যারা স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন এবং নিজের স্বাস্থ্য কে আরো ভালো রাখতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদন দেখুন এবং জেনে নিন নিজের স্বাস্থ্য রক্ষার কিছু গোপনীয় ট্রিক্স। যেগুলো আপনাকে অন্যদের তুলনায় আরো বেশি সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

যে জীবের প্রাণ রয়েছে ওই জীবের অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। সেটি হোক মানুষ কিংবা পশুপাখি তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা খুবই জরুরী। যদি একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বে এমনকি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে শুরু করে। অন্যান্য প্রাণের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য নিয়ে জানতে হবে এবং উন্নতি ঘটার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। চলুন এখন আমরা এই স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জেনে নেই।

এই প্রতিবেদন থেকে আমরা যা যা জানতে পারবো:

  • স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব
  • এর করণীয়

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি

অনেকে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা বলতে শুধুমাত্র বুঝতে পারে যে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেই হয়। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এর সংজ্ঞা রয়েছে বিশাল। একজন ব্যক্তি যখন শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটে তখনই কেবল তার স্বাস্থ্যের সুরক্ষা হয়ে থাকে। সেটি হতে পারে নিজের ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক অথবা সামাজিকভাবে। এটি শুধুমাত্র রোগমুক্ত থাকার জন্য নয় রোগকে প্রতিহত করা এবং নিয়মিত খাদ্যাভাস, মানসিক শান্তি এবং বিশ্রামসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা।

স্বাস্থ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব কি?

নিজের কিংবা পরিবারের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ এর মাধ্যমে পরিবার রোগ মুক্ত থাকে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উন্নয়ন ঘটে থাকে। চলুন নিচের থেকে আমরা সে বিষয়গুলো দেখে নেই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: যখন একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিতে শুরু করে তখন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পরিবর্তন ঘটে খাদ্যাভাসের এবং শারীরিক ব্যায়ামের কারণে আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠেন তিনি তুলনামূলকভাবে।

মানসিক সুস্থতা: শারীরিকভাবে সুস্থতা রাখে এটি তা নয়। মানসিকভাবে ব্যাপক সুস্থতা দেয় এই পদ্ধতিটি। বিশেষ করে যারা মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশনে ভোগে থাকে তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই তাদের ডিপ্রেশন জনিত সমস্যা রয়েছে তারা এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন।

সামাজিক সুস্থতা : ব্যক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে সামাজিক ভাবে পরিবর্তন ঘটে অনেক বেশি। কেননা যে সমাজের ব্যক্তিরা বেশি বেশি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে শুরু করে ততই সুস্থ সে সমাজের মানুষেরা এবং আধুনিক সমাজ গড়ে ওঠে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়

এখন আমরা মূল আলোচনায় চলে এসেছি। অর্থাৎ কিভাবে আপনারা এই স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করবেন সে বিষয় নিয়ে। এজন্য আপনাদেরকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। যেমন বেশি করে সুসময় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাহলে শরীরের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি সৃষ্টি হবে এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ হবে। তবে চর্বি এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হয়।

নিজেকে ফিট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এতে করে স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। নিয়মিত বেয়ানের পাশাপাশি অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে কমাতে হবে। এখানে প্রচুর পরিমাণ বলতে বোঝানো হয়েছে দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত একজন ব্যক্তি। এতে করে মানসিক চাপ কমে যাবে এবং সুরক্ষা রাখতে পারবে নিজেকে।

বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তন

যতই আপনি সুস্থ সবল থাকেন না কেন বছরে কমপক্ষে একবার আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। তার মাধ্যমে আপনার কোন জটিল রোগ দেখা দিলে ডাক্তার শনাক্ত করতে পারে এবং তত অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। আর এটি হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয় এবং করণীয়

আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জীব ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয় এবং করণীয় নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল। যারা স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন এবং নিজের স্বাস্থ্য কে আরো ভালো রাখতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদন দেখুন এবং জেনে নিন নিজের স্বাস্থ্য রক্ষার কিছু গোপনীয় ট্রিক্স। যেগুলো আপনাকে অন্যদের তুলনায় আরো বেশি সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

যে জীবের প্রাণ রয়েছে ওই জীবের অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। সেটি হোক মানুষ কিংবা পশুপাখি তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা খুবই জরুরী। যদি একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বে এমনকি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে শুরু করে। অন্যান্য প্রাণের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য নিয়ে জানতে হবে এবং উন্নতি ঘটার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। চলুন এখন আমরা এই স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জেনে নেই।

এই প্রতিবেদন থেকে আমরা যা যা জানতে পারবো:

  • স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব
  • এর করণীয়

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি

অনেকে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা বলতে শুধুমাত্র বুঝতে পারে যে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেই হয়। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এর সংজ্ঞা রয়েছে বিশাল। একজন ব্যক্তি যখন শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটে তখনই কেবল তার স্বাস্থ্যের সুরক্ষা হয়ে থাকে। সেটি হতে পারে নিজের ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক অথবা সামাজিকভাবে। এটি শুধুমাত্র রোগমুক্ত থাকার জন্য নয় রোগকে প্রতিহত করা এবং নিয়মিত খাদ্যাভাস, মানসিক শান্তি এবং বিশ্রামসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা।

স্বাস্থ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব কি?

নিজের কিংবা পরিবারের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ এর মাধ্যমে পরিবার রোগ মুক্ত থাকে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উন্নয়ন ঘটে থাকে। চলুন নিচের থেকে আমরা সে বিষয়গুলো দেখে নেই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: যখন একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিতে শুরু করে তখন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পরিবর্তন ঘটে খাদ্যাভাসের এবং শারীরিক ব্যায়ামের কারণে আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠেন তিনি তুলনামূলকভাবে।

মানসিক সুস্থতা: শারীরিকভাবে সুস্থতা রাখে এটি তা নয়। মানসিকভাবে ব্যাপক সুস্থতা দেয় এই পদ্ধতিটি। বিশেষ করে যারা মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশনে ভোগে থাকে তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই তাদের ডিপ্রেশন জনিত সমস্যা রয়েছে তারা এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন।

সামাজিক সুস্থতা : ব্যক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে সামাজিক ভাবে পরিবর্তন ঘটে অনেক বেশি। কেননা যে সমাজের ব্যক্তিরা বেশি বেশি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে শুরু করে ততই সুস্থ সে সমাজের মানুষেরা এবং আধুনিক সমাজ গড়ে ওঠে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়

এখন আমরা মূল আলোচনায় চলে এসেছি। অর্থাৎ কিভাবে আপনারা এই স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করবেন সে বিষয় নিয়ে। এজন্য আপনাদেরকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। যেমন বেশি করে সুসময় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাহলে শরীরের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি সৃষ্টি হবে এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ হবে। তবে চর্বি এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হয়।

নিজেকে ফিট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এতে করে স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। নিয়মিত বেয়ানের পাশাপাশি অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে কমাতে হবে। এখানে প্রচুর পরিমাণ বলতে বোঝানো হয়েছে দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত একজন ব্যক্তি। এতে করে মানসিক চাপ কমে যাবে এবং সুরক্ষা রাখতে পারবে নিজেকে।

বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তন

যতই আপনি সুস্থ সবল থাকেন না কেন বছরে কমপক্ষে একবার আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। তার মাধ্যমে আপনার কোন জটিল রোগ দেখা দিলে ডাক্তার শনাক্ত করতে পারে এবং তত অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। আর এটি হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।